অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো সিরাজগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন ফল বাগানের দুইটা গাছে বেশ কিছু ছাগল নাদি ফল ধরেছে। তবে পূর্ববর্তী বছরগুলোতে বেশিরভাগই পাখিদের কবল থেকে তা রক্ষা করা সম্ভব হতো না।
আধা পাকা অবস্থাতেই সব খেয়ে সাবাঢ় করে ফেলতো। এবছর পাখিরা আমাদের কিছুটা ছাড় দিয়েছে। অর্থাৎ ফিফটি-ফিফটি।
সিরাজগঞ্জের গ্ৰামাঞ্চলে এই ফলটি ছাগল নাদি🐐 কিংবা ছাগল লাদি নামে পরিচিত। পাকা ফল দেখতে ছাগলের বিষ্ঠার মতো বলে এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে একে ছাগল লেদা, ছাগল লেদি, কাকফল, কাকজাম, হামজাম, ছাগলবড়ই, ছেরাবেরা, কাউয়াঠুটি, আমঝুম, খেজুরজাম, ভূতিজাম ইত্যাদি নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম– Lepisanthes rubiginosa. Family- Sapindaceae.
ছাগল নাদি গাছ মূলত বনে জঙ্গলে অযত্ন অবহেলায় বেড়ে ওঠে। এই ফল গাছের আকার মধ্যমাকৃতির, পাতার গড়ন আম পাতার মতো তবে অনেক নরম। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পাকা ফল পাওয়া যায়। গাছে ফল গুচ্ছবদ্ধ অর্থাৎ থোকা আকারে ধরে। কাঁচা অবস্থায় সবুজ , আধপাকা অবস্থায় গোলাপি-লাল, পাকলে উজ্জ্বল কালো রং ধারণ করে। দেখতে অনেকটা কালো জামের মতো, কিন্তু আকারে অনেক ছোট, অনেকটা ক্ষুদি জামের মতো।
ছাগল নাদি ফল কাঁচা ও আধপাকা অবস্থায় ভীষণ কষ্টা, পাকলে কষ্টা ভাবটা অনেকটাই কেটে যায় ও বেশ মিষ্টি হয়। ফল রুচিকর, খিদে বাড়ায়, মলসঞ্চারক, জিভ ও মুখের ঘা এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে।
আমাদের দেশে ছাগল নাদি ফল গাছটি এখন বিলুপ্তির পথে। জীববৈচিত্র রক্ষাকল্পে এই গাছটি সযত্নে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। কারণ বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করায় এই ফলের গাছ এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না।
ছবি : নিজ বাগানের (মুঠোফোনে ধারণকৃত)।
ছবি তোলার স্থান : সিরাজগঞ্জ
তারিখ- ১৭ মে ২০২১,
সময় : সকাল ১১.২৪ মিনিট।
https://www.google.com/adsense/new/u/2/pub-7836040912634634/myads/sites/preview?url=bdspotnews.blogspot.com
ReplyDeletesrc="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-7836040912634634"
ReplyDeletecros